জীবন বৃত্তান্ত CV লেখার নিয়ম [ CV Writing Rules ]

  • আপডেটের সময় : সোমবার, ১৩ মে, ২০১৯
জীবন বৃত্তান্ত CV লেখার নিয়ম

জীবন বৃত্তান্ত CV লেখার নিয়ম ! ২০১৯ সালে কেমন জীবন বৃত্তান্ত তৈরি করবেন ?

* আজকে আপনাদের সাথে যে বিষয়টি শেয়ার করতে যাচ্ছি সেটি হয়তো উপরের Title দেখেই বুঝতে পেরেছেন ! হ্যা, আজকে আপনাদের সাথে একটি আকর্ষনীয় জীবন বৃত্তান্ত (CV) লেখার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করা হবে এরং যে জীবন বৃত্তান্তটি শেয়ার করবো সেটি দিয়ে সব ধরনের জীবন বৃত্তান্ত (CV) লেখা সম্ভব এরং তার সাথে কিছু আমাদের তৈরিকৃত CV ফরম্যাট দেয়া হবে । সেখান থেকে শুধু আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য সমূহ পরিবর্তন করে নিলেই হবে ।

* জীবন বৃত্তান্ত বলতে আমরা কি বুঝে থাকি, এক কথায় বলতে গেলে জীবন বৃত্তান্ত (CV) হচ্ছে একমাএ মাধ্যম যার সাহায্যে আপনি প্রার্থী হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসমূহে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন । কেননা প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই আপনার জীবন বৃত্তান্ত CV দেখার পর Interview দেওয়ার জন্য ডাক দেওয়া হয় । তাই CV তৈরি করার আগে খুব মনোযোগ সহকারে CV তে কি কি দিবেন একটি রাফ করে নিবেন, যাতে পরবর্তীতে Computer এ Type করার সময় কোনো Mistake না হয় ।

* জীবন বৃত্তান্ত (CV) তৈরি করার সময় একটি কথা মাথায় রাখতে হবে সেটি হলো চাকুরীদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো একটি জীবন বৃত্তান্ত (CV) দেখতে ৩০ সেকেন্ডের বেশি সময় দেয় না, এর কারন হলো তাদের নিকট অধিক পরিমানে জীবন বৃত্তান্ত পাঠানো হয় । এতে করে বেশি সময় নিয়ে জীবন বৃত্তান্ত দেখা তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না । তাই জীবন বৃত্তান্ত (CV) টি এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে ৩০ সেকেন্ড সময় নিয়ে দেখলেই পুরো জীবন বৃত্তান্ত সম্পর্কে মোটামোটি একটি ধারনা চলে আসে ।

* সবশেষে একটি কথা, চাকরি পাইয়ে দেয়ার জন্য জীবন বৃত্তান্ত-ই একমাত্র মাধ্যম যা আপনাকে ইন্টারভিউ বোর্ড পর্যন্ত নিয়ে যাবে । তাই সবসময় ভালো মানের CV লেখার চেষ্টা করবেন, একমাএ চাকরি খুঁজুন.কম আপনাদের দিচ্ছে ফ্রি জীবন বৃত্তান্ত ফরম্যাট, ফরম্যাট গুলো ডাউনলোড করতে প্রতিটি সিভির নিচে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক  করুন ।

 

জীবন বৃত্তান্ত CV লেখার নিয়ম !!! একটি আকর্ষনীয় জীবন বৃত্তান্তে যা যা থাকা প্রয়োজন এবং তৈরি করতে যে অংশ গুলো লিখতে হয় ….

* Title ( শিরোনাম )

* Career Summary ( ক্যারিয়ার সংক্ষিপ্ত বিবরন )

* Career Objective ( পেশাগত লক্ষ্য )

* Special Qualification ( বিশেষ যোগ্যতা )

* Employment History ( কর্মসংস্থান ইতিহাস )

* Academic Qualification ( শিক্ষাগত যোগ্যতা )

* Training ( প্রশিক্ষন )

* Career and Application Information ( পেশা এবং আবেদনপত্র )

* Language Proficiency ( ভাষাগত দক্ষতা )

* Personal Information ( ব্যক্তিগত তথ্য ) * Reference ( উল্লেখ )

 

Title ( শিরোনাম )

Title বলতে বুঝানো হয়েছে জীবন বৃত্তান্তের একদম শুরুতে (Bold) করে আপনার পুরো নাম, পরবর্তীতে আপনার ঠিকানা, যে ঠিকানায় কোনো চিঠি পাটালে আপনাকে পাওয়া যাবে । তারপর দিবেন আপনার পার্সোনাল ফোন নাম্বার এবং ই-মেইল অ্যাড্রেস ।

 

Career Objective ( পেশাগত লক্ষ্য )

পেশাগত লক্ষ্য হলো বর্তমান চাকরির ক্ষেত্রে আপনার পেশাগত লক্ষ্য কি ? যেমন আপনি যে প্রতিষ্ঠানে জীবন বৃত্তান্তটি পাঠাচ্ছেন সেই কোম্পানি আপনি কি দিতে পারবেন ( কাজের মাধ্যমে ) । Career Objective অংশটিতে কোম্পানি আপনার কাছ থেকে কি কি আশা করতে পারে সেটিই ফুটিয়ে তোলার চেষ্ঠা করুন । আপনি এইভাবে লিখতে পারেন :- To be an expect employee and intend to work in a challenging and competitive Environment in an organizational position entrusted with higher responsibility and strategies decision making authority, motivated self driven creative.

 

Career Summary ( ক্যারিয়ার সংক্ষিপ্ত বিবরন )

এই অংশটিতে আপনি আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং কোথায় কাজ করেছেন সেটি সংক্ষিপ্ত ভাবে লিখুন । ৪-৫ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে থাকলে এই অংশটি আপনি ৫-৬ লাইনের ভিতরে লিখে শেষ করতে পারেন ।

 

Special Qualification ( বিশেষ যোগ্যতা )

বিশেষ যোগ্যতা বলতে আমরা অতিরিক্ত যোগ্যতা বুঝে থাকি, অতিরিক্ত যোগ্যতায় যদি আপনি ভালো পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে সেটি শিক্ষাগত যোগ্যতার আগে দেওয়াই ভালো হবে । কিন্তু অতিরিক্ত যোগ্যতায় যদি আপনি তেমন বেশি পারদর্শী না হন নতুন হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে সেটি শিক্ষাগত যোগ্যতার পরে দিয়ে দিন । অতিরিক্ত যোগ্যতা গুলো এমন হয়ে থাকে, Computer Skill, Universal Testing Machine, ERP Softwer Operating ইত্যাদি যে কাজ গুলো আপনি ভালো জানেন ।

 

Employment History ( কর্মসংস্থান ইতিহাস )

কর্মসংস্থান ইতিহাস ‍কি ? কর্মসংস্থান ইতিহাস হলো চাকরিতে যোগদান করার পর বর্তমান সময় পর্যন্ত আপনি কোন কোন কোম্পিানিতে কাজ করেছেন এবং সেই কর্মস্থানে আপনার পজিশন কি ছিল ও কোন কোম্পানিতে কত বছর কাজ করেছেন এই সমস্ত কিছু বিস্তারিত লিখে দিবেন । অনেক সময় দেখা যায় যাদের অভিজ্ঞতা বেশি তারাই ইন্টারভিউ এর জন্য ডাক পান । এক কথায় বলতে গেলে কর্মসংস্থান ইতিহাস হলো পূর্ববর্তী কাজের বিস্তারিত বর্ননা ।

 

Academic Qualification ( শিক্ষাগত যোগ্যতা )

শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে আপনার কাঙ্খিত কোম্পানির ডিমান্ড এর দিকে লক্ষ্য রেখে আপনার ডিগ্রী গুলোর নাম উল্লেখ করবেন এবং নিচে উল্লিখিত নিয়মানুসারে তথ্য প্রদান করতে পারেন ।

  • Name Of Exam (S.S.C, H.S.C, Honars, Masters)
  • Name Of Board ( বোর্ডের নাম লিখুন )
  • Group Name ( যে বিষয়ের উপর পড়াশুনা করেছেন )
  • Result ( ফলাফল )
  • Passing Year ( পরীক্ষায় পাসের সাল )

 

Training ( প্রশিক্ষন )

কোনো বিষয়ের উপর যদি আপনার ট্রেনিং নেয়া থাকে তাহলে জীবন বৃত্তান্তে উল্লেখ করে দিয়ে দিবেন কেননা চাকুরীদাতা প্রতিষ্ঠান গুলো সবসময় অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোজ খুজে । কোম্পানি গুলোর কাছে যাদেরকে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বলে মনে হয় তারাই ভালো মানের চাকরি পেয়ে থাকে । তাই আপনার যদি কোনো বিষয়ের উপর ট্রেনিং থাকে তাহলে সেটি CV তে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করে তুলবেন । জীবন বৃত্তান্ত CV লেখার নিয়ম !

 

Career and Application Information ( পেশা এবং আবেদনপত্র )

পেশা এবং আবেদন তথ্য হিসেবে আপনি যেটি দিতে পারেন তা হলো আপনি কোন চাকরি করতে আগ্রহী কিংবা সেই ধরনের চাকরি খুজতেছেন, সেটি কি পার্টটাইম হবে নাকি ফুলটাইম হবে । বর্তমানে কর্মরত প্রতিষ্ঠানে আপনার Sallery কত এবং নতুন কর্মস্থলে প্রত্যাশিত Sallery কত আশা করেন সেটিও দিয়ে দিবেন । তাছারা আপনার পছন্দের চাকরির ধরন এবং কোন জেলায় চাকরি করার জন্য আগ্রহ পোষন করেন । এই সমস্ত কিছু CV তে উল্লেখ করতে পারেন এ ক্ষেত্রে আপনার Demand সম্পর্কেও চাকুরীদাতা প্রতিষ্ঠান কিছুটা ধারণা নিতে পারবে ।

 

Language Proficiency ( ভাষাগত দক্ষতা )

ভাষাগত দিক দিয়ে আপনি কোন ধরনের ভাষা জানেন সেটিও সংক্ষেপে জীবন বৃত্তান্তে দিয়ে দিবেন যেমন আপনি কোন ভাষায় কথা বলতে পারেন এবং কোন ভাষায় লিখতে পারেন । এই গুলো সংক্ষেপে লিখে দিবেন । জীবন বৃত্তান্ত CV লেখার নিয়ম ! 

 

Personal Information ( ব্যক্তিগত তথ্য )

ব্যক্তিগত তথ্য বলতে বুঝানো হয় আপনার যাবতীয় তথ্য । ব্যক্তিগত তথ্য হিসেবে আপনি যা যা দিতে পারেন:-

  • Father’s Name
  • Mother’s Name
  • Date of Birth
  • Gender
  • Marital Status
  • Nationality
  • National Id No.
  • Religion
  • Present Address
  • Permanent Address
  • Current Location

 

Reference ( উল্লেখ )

রেফারেন্স লিখতে অনেকেই যে ভূলটি বেশি করেন, রেফারেন্স হিসেবে আত্মীয় স্বজনের নাম দিয়ে দেন । এই ভূলটি কখনই করতে যাবেন না । রেফারেন্স হিসেবে আপনার কোনো শিক্ষক কিংবা আপনার কর্মস্থলের সিনিয়র কাউকে রাখতে পারলে ভালো হয় । রেফারেন্স হিসেবে যার নামটি দিবেন তার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে নিবেন । রেফারেন্সে আপনি যা যা লিখতে দিতে পারেন:-

  • Name :
  • Organization :
  • Designation :
  • Address :
  • Phone No :

➤ জীবন বৃত্তান্ত (CV) হলো নিজেকে উপস্থাপন করার একমাএ সহজ মাধ্যম, তাই যতটুকু সম্ভব নিজেকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করে তোলার জন্য আকর্ষনীয় ভাবে জীবন বৃত্তান্ত (CV) তৈরি করতে হবে । জীবন বৃত্তান্ত (CV) তৈরি করার সময় যে বিষয়টির প্রতি বেশি নজর দিতে হবে তা হলো  জীবন বৃত্তান্তটি যেন দুই পৃষ্ঠার হয় ।

 

জীবন-বৃত্তান্ত-CV-লেখার-নিয়ম-chakrikujun.com

 
 

Advanced-cv-writing chakrikujun.com

 
 

Advanced-cv-writing chakrikujun.com

 
 

Advanced-cv-writing

Advanced-cv-writing chakrikujun.com

 
 

Advanced-cv-writing

 
 

Advanced-cv-writing chakrikujun.com

 
 
নিচে দেয়া চাকরি সংক্রান্ত যেকোনো ফরম খুব সহজে পেতে চাইলে মেনু বার থেকে আপনি আপনার পছন্দমতো ফরম ডাউনলোড করে নিতে পারবেন ।
চারিত্রিক সনদ অভিভাবক বার্ষিক আয়ের সনদপত্র
অভিভাবক সম্মতিপত্র অবিবাহিত সনদ পত্র
ওয়ারেশ সনদ বেকারত্ব সনদ
স্থায়ী বাসিন্দা সনদ ইপিআই কর্মীর প্রত্যয়ন পত্র
ভূমিহীন প্রত্যয়ন চালান ফরম
বাংলা বায়ো ডাটার ফরম ইংলিশ বায়োডাটার ফরম
নতুন পাসপোর্ট ফরম পাসপোর্ট রি-ইস্যু ফরম
জন্ম নিবন্ধন ফরম আইডি কার্ড সংশোধন ফরম

 

Please Share This Post in Your Social Media

Comments are closed.

More News Of This Category